নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর দক্ষিণখানে হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহের তিন খণ্ড তিন জায়গা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় মূল আসামি চার্লস রূপম সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রবিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে রূপমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) উত্তরা ও দক্ষিণখান থেকে চার্লস রূপম সরকারের স্ত্রী শাহিনা আক্তার মনি ও শাশুড়ি রাশিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গত শুক্রবার (১৯ জুন) মনি ও তার মা রাশিদা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নৃশংস হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফটোস্ট্যাট মেশিন বিক্রি করবেন বলে হেলালকে নিজের বাসায় ডাকেন রূপম। বাসায় এলে হেলালকে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো চা পান করতে দেওয়া হয়। হেলাল চা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তখন রূপম ও তার স্ত্রী শাহিনা আক্তার মনি মিলে টিভির ডিশ লাইনের তার দিয়ে ঘুমন্ত হেলালের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। এরপরে লাশ টেনে বাসার টয়লেটে নিয়ে যান। সেখানে রূপম তার স্ত্রী মনি ও শাশুড়ি রাশিদা আক্তারকে নিয়ে বঁটি দা ও চাকু দিয়ে হেলালের লাশ তিন টুকরা করে টুকরা তিনটি বস্তা ও ব্যাগে পুরে ভাড়া করা অটোরিকশার মাধ্যমে তিন জায়গায় ফেলে দেন।
হেলালকে হত্যার পর তার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে রূপম বেশকিছু টাকা তুলে নেয়। রূপমের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে ওই টাকার মধ্যকার ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিসি মশিউর বলেন, গত ১৫ জুন হেলালের খণ্ডিত শরীর বস্তায় ভরে নিয়ে একটি অটোরিকশায় উঠছিল রূপম, এমন ভিডিও ফুটেজ আসে গোয়েন্দাদের হাতে। সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রূপম, তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।